ঢাকা | সেপ্টেম্বর ১৫, ২০২৪ - ৪:৪৩ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনামঃ

ফারাক্কার ১০৯ গেট খুলল ভারত, বন্যাঝুঁকিতে বাংলাদেশের যেসব জেলা

  • জাগো নিউজ ডট নেট
  • আপডেট: Monday, August 26, 2024 - 10:26 pm
  • News Editor
  • পঠিত হয়েছে: 8 বার

ঢাকা: ভারতের বিহার ও ঝাড়খণ্ডে বন্যার জেরে ফারাক্কা ব্যারেজের ১০৯টি গেট খুলে দিয়েছে ভারত। সোমবার (২৬ আগস্ট) গেট খুলে দেয়া হয়। এতে একদিনে বাংলাদেশে ঢুকবে ১১ লাখ কিউসেক পানি। বাঁধ খুলে দেয়ায় বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদসহ বাংলাদেশেও। বন্যা পরিস্থিতি ও পাহাড়ি ঢলের বিষয়ে আগে থেকে বাংলাদেশকে তথ্য দেয়া হচ্ছে বলে ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

সোমবার ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ জানায়, প্রতিবেশী দুই রাজ্যে বন্যার জেরে পানির চাপ পড়েছে। তবে স্বস্তির বিষয়, এখনও নেপাল থেকে পাহাড়ি ঢল নামেনি। ফারাক্কা ব্যারেজ এলাকায় পানি বিপদসীমার ৭৭ দশমিক ৩৪ মিটার ওপর দিয়ে বইতে থাকায় বাধ্য হয়ে গেট খুলতে হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ফিডার ক্যানেলেও পানির পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে।

নদ-নদী বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান রিভারাইন পিপলের পরিচালক এম আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ফারাক্কার গেট খুলে দেয়ার খবরটি আমাদের জন্য বিপদজনক। এর ফলে দেশের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী ও মানিকগঞ্জসহ আশপাশের জেলাগুলো প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, ফারাক্কা ব্যারেজের আপ স্ট্রিমে পানি ধারণ ক্ষমতা ২৬ দশমিক ২৪ মিটার। বিপদসীমা ২২ দশমিক ২৫ মিটার এবং সর্তকতাসীমা ২১ দশমিক ২৫ মিটার। আপ স্ট্রিমের ধারণ ক্ষমতা অতিক্রম করায় শনিবার থেকে খুলে দেয়া হয় অধিকাংশ গেট। আর সোমবার সর্বোচ্চ ১০৯ গেট খুলে দেয়া হয়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশের মুর্শিদাবাদ জেলায় গঙ্গা নদীর ওপর ফারাক্কা বাঁধের অবস্থান। বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে ১৯৬২ সালে এই বাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। প্রায় এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিত এই বাঁধের কাজ শেষ হয় ১৯৭০ সালে। ফারাক্কা বাঁধের কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় ১৯৭৫ সালের ২১ এপ্রিল।